রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম মনিরুজ্জামান, পাবনা: পাবনার
সুজানগরের সরকারি ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই সরকারি ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ কলেজে অনুপস্থিত থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম,আর্থিক সক্ষমতা, আইনশৃঙ্খলা পরীক্ষা:অভ্যন্তরিন ইনকোর্স পরীক্ষা,পাবলিক পরীক্ষা,ফরম পূরণ,রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ও পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট তারিখ হতে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বিনা ছুটিতে অদ্যবধি কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং কোন শিক্ষকের উপর দায়িত্বভার অর্পণ করেন নাই কিন্তু বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ঠিকই ভোগ করছেন। জানাযায়, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি ১৯৯৫ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ৩৫০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত এবং ৭০ জন শিক্ষকসহ সর্বমোট ৭৮ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। কলেজের প্রদর্শক আব্দুর রহিম মঙ্গলবার জানান, বিগত আওয়ামীলীগের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ কলেজের আর্থিক অনিয়ম,স্বজনপ্রীতি শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারণ করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকায় গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এবং বিনা ছুটিতে কলেজে না এসেই নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর এখন পর্যন্ত তিনি কলেজে অনুপস্থিত। কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ স্যার না থাকায় ফরম পূরণ,রেজিষ্ট্রেশন, প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্য হচ্ছে আমাদের। তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসা ছুটি পাওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর তিনি একটি আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম জানান, কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্তকাজ শেষ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অতি দ্রুতই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হবে।